মনির আহমদ, চকরিয়া :: গভীর রাতে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছাত্রাবাসে ২ ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার ঘটনা কোন ধরনের মামলা ছাড়াই নিস্পত্তি হচ্ছে। ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনাকে মুখ্য হলে নেপত্যে ইতিপুর্বের কতিপয় শিক্ষকের অর্থ-কেলেংকারী ও অনিয়ম নিয়ে সমালোচনার মুখে বিষয়টা আরো ঘোলাটের শংকায় চলমান বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ, এমন বক্তব্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্রের।
তাই হামলাকারী ৯ম শ্রেণীর হেলাল উদ্দিন ও মোঃ শোয়াইবকে বহিস্কার করেই বিষয়টি নিস্পত্তি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। উদ্ভুদ্ধ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রাবাসের একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের হুমকীর মুখে এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন কোরক বিদ্যাপীঠ স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আখের।
প্রসঙ্গত: বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত সোয়া ১টায় চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রাবাসের নীচ তলায় ও ৪র্থ তলায় দু দফায় ২ ছাত্রকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করে একই ছাত্রাবাসের অপর ২ ছাত্র। এসময় হোস্টেলের ভেতর আরো ৪/৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের ১জন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ঠিকাদার আবদুল হাকিমের ছেলে ও ৯ ম শ্রেণির আবাসিক ছাত্র নাজমুল হোসেন জয় ও অপর ছাত্র মাহমুদ হোসেন কালবি’কে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলাকারী ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় একই ক্লাসের আবাসিক ছাত্র হেলাল উদ্দিন ও মোঃ শোয়াইবসহ অপরাপর ৪-৫ জন সহযোগী। হামলাকারীরা হামলা পরপরিই পলাতক হয়ে রয়েছে। ছাত্রাবাসের নীচ তলায় ও পরে ৪র্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রাবাসের সহকারী হোষ্টের সুপার শফিউল আলম বক্তব্যমতে, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপিঠ স্কুলে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে ছাত্রাবাসে ৬৫ জন ছাত্রী ও ২৫০ জন ছাত্র আবাসিক রয়েছে। ৪তলা বিশিষ্ট ছাত্রাবাস ভবনের প্রতিটি কক্ষে ১৫-১৬ জন করে ছাত্র থাকে। এ দিন অজ্ঞাত কারনে হোষ্টেল সুপার নেচারুল হক ছুটি নিয়ে বাড়ীতে যান। দায়ীত্বে থাকেন সহকারী শিক্ষক ও হোষ্টেল সুপার শফিউল আলম। শফিউল আলম ছাত্রদের মারামারি প্রসঙ্গে বলেন, ছাত্রাবাসের কাজ শেষে রাত ১২ টার দিকে ৪ তলায় নিজ কক্ষে তিনি ঘুমাতে যান। রাত সোয়া ১টায় নিচে হৈচৈ শুনে দ্রুত নীচে নেমে দেখতে পান রক্তাক্ত ২ ছাত্র
মেঝেতে পড়ে আছে। জানতে পারেন ছাত্রাবাসের অভিযুক্ত ২ ছাত্র সহ কয়েকজন এদেরকে ছুরিকাঘাত ও বাটাম দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়েছে। ঘটনা শুনে তিনি দ্রুত আহত ছাত্রদ্বয়কে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান। এবং প্রধান শিক্ষক ও চকরিয়া থানাকে অবহিত করেন।
পরে ৮ নভেম্বর শুক্রবার :
দুপুর ১২ টায় চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হিরু বড়ুয়া সহ একদল পুলিশ
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং আহত ও উপস্থিত ছাত্রদের জবানবন্দী গ্রহণ করে চলে যান ।
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ প্রধান শিক্ষক নূরুল আখের বলেন,ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্র
হেলাল উদ্দিন ও মোঃ শোয়াইবকে বহি:স্কার করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। তাই আপাতত: কোন মামলার দিকে যাচ্ছিনা।”ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। উল্লেখ্য চকরিয়া কোরক বিদ্যাপিঠ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলম বিএ (অনার্স) এমএ।
পাঠকের মতামত: